২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালিত হয়

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, যা মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলাদেশের সাহসী তরুণরা আত্মত্যাগ করেছিলেন। তাঁদের সেই সংগ্রাম ও ত্যাগের স্বীকৃতি দিতে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দিন।

কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়?

২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সাল থেকে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ‘শহীদ দিবস‘ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শহীদ দিবস। এটি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্ররা পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। (February 21st is International Mother Language Day) তাঁদের স্মরণে বাংলাদেশে দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।

ডোমেইন কিনতে এখানে ক্লিক করুনঃ ডোমেইন

১০ টি সেরা ২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৫

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ১

২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির গৌরবময় ইতিহাসের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালিরা মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। এই সংগ্রামের মাধ্যমেই আমরা বুঝেছি মাতৃভাষার গুরুত্ব। তাই আজকের দিনটি কেবল বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দিন হিসেবে পালিত হয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২

২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার এমন উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন। তাঁদের এই আত্মদানের ফলেই আজ বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। তাই এই দিনটি আমাদের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৩

ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্মপরিচয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষায় একত্রিত হয়েছিল। ভাষা শহীদদের ত্যাগ শুধু আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেনি, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিল। এই দিনটি আমাদের চেতনার প্রতীক।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৪

২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরবগাথার দিন। মাতৃভাষার জন্য আত্মদানকারী ভাষা শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আজও অটুট। তাঁদের ত্যাগের কারণেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। ইউনেসকোর মাধ্যমে এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাঙালির গৌরব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৫

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের মাতৃভাষার গুরুত্ব শিখিয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের কেবল ইতিহাস নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষার দিন। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, তার সম্মান রক্ষা এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি গ্রহণের দিন এটি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৬

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুধু একটি ভাষার লড়াই ছিল না, এটি ছিল অধিকার ও মর্যাদার সংগ্রাম। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আমরা কোনো বাধার কাছে মাথা নত করিনি। এই আত্মত্যাগের শিক্ষা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করে নিয়ে যেতে হবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৭

২১ শে ফেব্রুয়ারি একদিকে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিন, অন্যদিকে বাঙালির চেতনার জাগরণের দিন। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আমরা শহীদদের স্মরণ করি, কিন্তু এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার ও তার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৮

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয়। এটি কেবল বাঙালির গর্ব নয়, বিশ্ববাসীর জন্যও একটি শিক্ষা। ভাষা বৈচিত্র্য ও তার মর্যাদা রক্ষা করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মাতৃভাষা আমাদের পরিচয়, এবং এটি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ৯

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অধিকার কখনো সহজে অর্জিত হয় না। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সেই চেতনার দিন, যে চেতনা বাঙালিকে পরবর্তীতে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গেছে। ভাষার জন্য যে ত্যাগ, তা পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ১০

২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই দিনটি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও আমাদের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। মাতৃভাষা আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রধান উপাদান। এটি আমাদের শেখায়, কোনো কিছু অর্জনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন।

২০২৫ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে

কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৫

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ২০২৫

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ১

মাতৃভাষার গান
প্রাণের বিনিময়ে যারা,
ভাষার মান রেখেছিল,
২১ শে ফেব্রুয়ারি আজ,
তাদের স্মৃতি জেগেছিল।
রক্তিম ফুলে শহীদ মিনার,
নয়নে আনে জল,
সেই স্মৃতি আজও জাগে,
বাঙালির প্রাণে উত্সল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ২

রক্তের অক্ষরে লেখা
ফাল্গুনে রক্ত ঝরলো,
ভাষার জন্য যারা,
জীবন দিলো অকাতরে,
মায়ের মাটি চুমে সারা।
রক্তের অক্ষরে লিখিত হলো,
বাংলার চিরগান,
মাতৃভাষার জয়গানে,
উজ্জ্বল করে প্রাণ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৩

শহীদের মিনার
শহীদ মিনার দাঁড়িয়ে আছে,
স্মৃতির অমলিন চিহ্ন,
বরকত-সালাম স্মরণে আজ,
ভাষা পেল জীবনের কিঞ্চিৎ।
নীরব শ্রদ্ধা আর অশ্রু ফেলে,
বাঙালি জানায় প্রণাম,
এই দিনের ত্যাগের আলো,
আনন্দে করে অবিরাম।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৪

ফেব্রুয়ারির চেতনা
একুশের মাটি ভিজে গেছে,
শহীদের রক্ত ধারায়,
মায়ের ভাষা বাঁচাতে যারা,
জীবন দিলো দানায়।
তাদের ত্যাগে মুক্ত হলো,
বাংলা ভাষার মান,
আজকের দিন তাই অমলিন,
প্রাণে প্রাণে জ্ঞান।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৫

ভাষার ত্যাগ
মাতৃভাষার জন্য দিলো যারা,
রক্তের অর্ঘ্য গাঁথা,
তাদের ত্যাগের পথ ধরে,
বাংলা পেল ব্যাখা।
ভাষার লড়াই চিরকালীন,
চেতনার মশাল জ্বলে,
২১ শে ফেব্রুয়ারি তাই,
প্রাণে আলো ঢালে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৬

একুশের প্রতিশ্রুতি
এই দিনে শপথ নেব,
ভাষার মান রাখবো,
তাদের ত্যাগ ভুলবো না,
তাদের রক্ত রাখবো।
মাতৃভাষা হৃদয়ের ধন,
মায়ের মুখের বুলি,
২১ শে ফেব্রুয়ারি তাই,
চেতনার আলো তুলি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৭

ভাষা আমার পরিচয়
বাংলা ভাষা, মায়ের ভাষা,
আমার প্রাণের ধন,
২১ শে ফেব্রুয়ারি তাই,
আমার আত্মার বন।
ভাষার জন্য যারা দিলো,
জীবন অকাতরে,
তাদের স্মৃতি প্রাণে রেখে,
চলবো যুগান্তরে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৮

অমর শহীদ
শহীদেরা বলেছিল,
ভাষার দাবি ত্যাগ নয়,
তাদের রক্তে বুনে গেল,
আমাদের জীবনের জয়।
বাংলা মায়ের ভাষা রক্ষায়,
তাদের স্মৃতি আজ,
প্রাণে প্রাণে বেঁধে রাখি,
তাদের গৌরব সাঁজ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ৯

রক্তের ফুল
২১ শে ফেব্রুয়ারি এলে,
শহীদ মিনারে ফুল,
রক্তে রাঙা সেই দিনটিতে,
জীবন মনে দুল।
ভাষার জন্য যারা গেলো,
অমর হলো গান,
বাংলা মায়ের মুখের ভাষা,
পেলো নতুন প্রাণ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা ১০

একুশের গান
একুশ আমার চেতনা,
একুশ আমার প্রাণ,
মাতৃভাষার অধিকার,
একুশ দেয় জান।
শহীদ যারা হয়ে গেছে,
তাদের শ্রদ্ধা অশেষ,
একুশের এই মহিমা,
চিরকালীন বিশেষ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এটি কেবল একটি তারিখ নয়, এটি মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের চিরন্তন প্রতীক। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) বাঙালিরা তাদের প্রাণের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য এক অবিচল সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ সংগ্রামের পটভূমি, সংঘর্ষ এবং ত্যাগের কাহিনী আজও আমাদের মনে প্রেরণা জোগায়।

ভাষা আন্দোলনের সূচনা

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত হয় — পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তান। যদিও পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পুরো পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা করেন, “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।” এই ঘোষণা বাঙালি জনসাধারণের মনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রসমাজ এবং বিভিন্ন স্তরের জনগণ সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৯৪৮ সালেই ঢাকায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে বাংলা ভাষার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন ক্রমে গণজাগরণে রূপ নেয়। ছাত্ররা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে, বাংলা তাদের মাতৃভাষা এবং এর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হলে তারা চুপ করে থাকবে না।

১৯৫২ সালের উত্তাল দিনগুলি

১৯৫২ সালের শুরুর দিকে সরকার ঘোষণা করে, উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আইন প্রণয়ন করা হবে। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলনের চূড়ান্ত দিন হয়ে ওঠে। সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে, যা জনসমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছিল।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই আদেশ অমান্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকেই তারা মিছিল করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। ছাত্রদের দাবিগুলো ছিল স্পষ্ট—বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে। তারা জানত, এই আন্দোলনের জন্য তাদের জীবন দিতে হতে পারে, তবু তারা পিছপা হয়নি।

রক্তঝরা ২১ শে ফেব্রুয়ারি

২১ শে ফেব্রুয়ারি সকালে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। সেখানে তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল শুরু করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের থামানোর জন্য লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস এবং পরে গুলি চালায়। গুলিতে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং আরও অনেকে। রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে গোটা পূর্ব পাকিস্তান ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে। শহীদদের আত্মত্যাগ শুধু বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেই জোরালো করেনি, এটি তাদের জাতীয় চেতনাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তোলে।

আন্দোলনের ফলাফল

শহীদদের ত্যাগের ফলে ভাষা আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই অর্জন ছিল বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় বিজয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি

ভাষা শহীদদের এই আত্মত্যাগ কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে। এই স্বীকৃতি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

ভাষা আন্দোলনের শিক্ষা

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন আমাদের শেখায়, মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও এর মর্যাদা রক্ষায় ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এটি কেবল একটি ভাষার লড়াই ছিল না; এটি ছিল অধিকার ও আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম। শহীদ মিনার এখন সেই ত্যাগ ও গৌরবের প্রতীক।

১০টি ২১ শে ফেব্রুয়ারি পিক | ২১ শে ফেব্রুয়ারি ব্যানার

কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য | কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়

উপসংহার

২১ শে ফেব্রুয়ারি কেবল একদিন নয়, এটি আমাদের ইতিহাসের একটি আলোকিত অধ্যায়। শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের চেতনার মশাল, যা আমাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রাণিত করে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়, যা বাঙালির গৌরবময় ইতিহাসকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।