ভৈরব টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও টিকিটের মূল্য ২০২৫ঃ ভৈরব থেকে ঢাকা যাতায়াত বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রুটগুলোর একটি। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ব্যবসায়িক, শিক্ষাগত, পারিবারিক বা অন্যান্য প্রয়োজনে এই পথে ট্রেনে ভ্রমণ করেন। ট্রেন এই রুটে একটি নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক যাতায়াতের মাধ্যম। এই নিবন্ধে আমরা ভৈরব থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করব। এই তথ্যগুলো আপনার যাত্রাকে আরও সুবিধাজনক এবং পরিকল্পিত করতে সহায়তা করবে।
Also Read
আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী
ভৈরব থেকে ঢাকা রুটে নয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে, যা দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়। এই ট্রেনগুলোর বেশিরভাগের সাপ্তাহিক ছুটির দিন রয়েছে, তবে কিছু ট্রেন সপ্তাহের সব দিন চলে। যাত্রার সময় সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ ঘণ্টা, যা এই রুটের দূরত্ব এবং ট্রেনের ধরনের উপর নির্ভর করে। নিচে আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী টেবিল আকারে দেওয়া হলো:
| ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর সময় |
|---|---|---|---|
| মহানগর গোধূলি (৭০৩) | নেই | ১৯:৪৪ | ২১:২৫ |
| পার্বতী এক্সপ্রেস (৭১০) | মঙ্গলবার | ২০:৫৩ | ২২:৪০ |
| মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১) | রবিবার | ১৭:১০ | ১৯:১০ |
| এগারো সিন্ধুর প্রভাতী (৭৩৮) | নেই | ০৮:১০ | ১০:৪০ |
| উপবন এক্সপ্রেস (৭৪০) | নেই | ০৪:৪৭ | ০৬:৪৫ |
| তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১) | নেই | ০৩:২৭ | ০৫:১৫ |
| এগারো সিন্ধুর গোধূলি (৭৫০) | বুধবার | ১৪:৪৫ | ১৭:০৫ |
| কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৪) | শুক্রবার | ১০:৫৫ | ১৩:০০ |
| কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮২) | শুক্রবার | ১৭:৪৫ | ২০:১০ |
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যেমন এসি কোচ, স্নিগ্ধা আসন এবং আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা। এই ট্রেনগুলো দ্রুতগতির হওয়ায় ব্যবসায়িক এবং শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত। যাত্রার আগে সময়সূচী এবং টিকিটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা উচিত, কারণ বিশেষ দিনে বা ছুটির সময় চাহিদা বেশি থাকে। আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা স্টেশন থেকে টিকিট কিনতে পারেন।
অন্য পোষ্টঃ ঢাকা টু ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ভৈরব থেকে ঢাকা রুটে নয়টি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো সাধারণত আন্তঃনগর ট্রেনের তুলনায় বেশি স্টেশনে থামে, ফলে যাত্রার সময় কিছুটা বেশি লাগে। তবে, এগুলো সাশ্রয়ী ভাড়া এবং সহজলভ্যতার কারণে অনেক যাত্রীর কাছে জনপ্রিয়। নিচে মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী দেওয়া হলো:
| ক্রমিক নং | ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর সময় |
|---|---|---|---|---|
| ১ | ঢাকা মেইল (০১) | নেই | ০৪:২৭ | ০৬:৫৫ |
| ২ | কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (০৩) | নেই | ১৬:৩০ | ১৯:৪৫ |
| ৩ | সুরমা মেইল (১০) | নেই | ০৫:০৭ | ০৯:১৫ |
| ৪ | ঢাকা এক্সপ্রেস (১০) | নেই | ০২:১৭ | ০৬:৪০ |
| ৫ | তিতাস কমিউটার (৩৩) | নেই | ০৫:৫৭ | ০৮:৩০ |
| ৬ | তিতাস কমিউটার (৩৫) | নেই | ১২:৫৯ | ১৫:১৫ |
| ৭ | ইশা খান এক্সপ্রেস (৪০) | নেই | ১৭:৫০ | ২৩:০০ |
| ৮ | চাটলা এক্সপ্রেস (৬৭) | মঙ্গলবার | ১৩:৪৮ | ১৫:০০ |
| ৯ | কুমিল্লা কমিউটার (৮৯) | মঙ্গলবার | ০৮:৫৮ | ১২:৫০ |
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাধারণত স্থানীয় যাত্রীদের জন্য উপযোগী, যারা কম খরচে ভ্রমণ করতে চান। এই ট্রেনগুলোর ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম এবং আসনের প্রাপ্যতা বেশি থাকে। তবে, এগুলোর যাত্রার সময় আন্তঃনগর ট্রেনের তুলনায় বেশি হতে পারে। ভ্রমণের আগে সময়সূচী এবং টিকিটের প্রাপ্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
পড়ুনঃ গফরগাঁও টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও টিকিটের মূল্য
ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
ভৈরব থেকে ঢাকা রুটে ট্রেনের ভাড়া আসনের ধরন এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকিট কিনতে পারেন। নিচে এই রুটে বিভিন্ন আসন বিভাগের টিকিটের মূল্য দেওয়া হলো:
| আসন বিভাগ | টিকিটের মূল্য (টাকা) |
|---|---|
| শোভন | ৮৫ |
| শোভন চেয়ার | ১০৫ |
| প্রথম সিট | ১৩৫ |
| প্রথম বার্থ | ২০৫ |
| স্নিগ্ধা | ১৯৬ |
| এসি সিট | ২৩৬ |
| এসি বার্থ | ৩৫১ |
এই ভাড়ার তালিকা যাত্রীদের বাজেট অনুযায়ী উপযুক্ত আসন নির্বাচন করতে সহায়তা করে। এসি এবং স্নিগ্ধা আসনগুলো অতিরিক্ত আরাম প্রদান করে, যা দীর্ঘ যাত্রার জন্য উপযুক্ত। ভাড়া মৌসুম বা বিশেষ সময়ে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করা উচিত। অনলাইনে অগ্রিম বুকিং করলে পছন্দের আসন নিশ্চিত করা সহজ হয়।
দেখুনঃ ঢাকা থেকে নরসিংদী ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
উপসংহার
ভৈরব থেকে ঢাকা ট্রেন যাত্রা একটি সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক ভ্রমণের বিকল্প। এই রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর এবং মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো বিভিন্ন ধরনের যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করে। এই নিবন্ধে উল্লিখিত সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা এবং অন্যান্য তথ্য আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে আরও সহজ এবং সুষ্ঠু করবে। ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার ভৈরব থেকে ঢাকা যাত্রাকে আরও সুবিধাজনক এবং আনন্দদায়ক করে তুলবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
-
ভৈরব থেকে ঢাকা ট্রেনে যেতে কত সময় লাগে?
সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ ঘণ্টা। -
এই রুটে কতটি আন্তঃনগর ট্রেন চলে?
নয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলে। -
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা কত?
নয়টি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলে। -
আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন আছে কি?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ ট্রেনের একটি করে ছুটির দিন রয়েছে, তবে চারটি ট্রেন সপ্তাহের সব দিন চলে। -
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের ছুটির দিন কবে?
চাটলা এক্সপ্রেস এবং কুমিল্লা কমিউটারের ছুটির দিন মঙ্গলবার, বাকি ট্রেনগুলোর কোনো ছুটির দিন নেই। -
শোভন চেয়ারের টিকিটের মূল্য কত?
১০৫ টাকা। -
এসি বার্থের টিকিটের মূল্য কত?
৩৫১ টাকা। -
অনলাইনে টিকিট কোথায় কিনতে পারি?
বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা শোধ অ্যাপে। -
ভৈরব থেকে ঢাকার দূরত্ব কত?
প্রায় ৮৮ কিলোমিটার। -
মহানগর গোধূলি কখন ছাড়ে?
সন্ধ্যা ১৯:৪৪ মিনিটে। -
পার্বতী এক্সপ্রেসের ছুটির দিন কবে?
মঙ্গলবার। -
ট্রেনের সময়সূচী কোথায় চেক করতে পারি?
রেলওয়ে স্টেশন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। -
মহানগর এক্সপ্রেস কখন পৌঁছে?
সন্ধ্যা ১৯:১০ মিনিটে। -
কালনী এক্সপ্রেসের ছুটির দিন কবে?
শুক্রবার। -
তূর্ণা এক্সপ্রেস কি সপ্তাহের সব দিন চলে?
হ্যাঁ, এটি সপ্তাহের সব দিন চলে। -
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কখন ছাড়ে?
বিকেল ১৬:৩০ মিনিটে। -
ঢাকা মেইল কখন পৌঁছে?
সকাল ০৬:৫৫ মিনিটে। -
স্নিগ্ধা আসনের টিকিটের মূল্য কত?
১৯৬ টাকা। -
প্রথম সিটের টিকিটের মূল্য কত?
১৩৫ টাকা। -
এসি সিটের সুবিধা কী?
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ এবং আরামদায়ক আসন। -
ট্রেনের টিকিট কি অগ্রিম বুক করা যায়?
হ্যাঁ, অনলাইনে বা স্টেশনে অগ্রিম বুক করা যায়। -
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন কি আন্তঃনগরের চেয়ে ধীরগতির?
হ্যাঁ, এগুলো বেশি স্টেশনে থামে। -
শোভন আসনের সুবিধা কী?
সাশ্রয়ী মূল্যে মৌলিক ভ্রমণ সুবিধা। -
ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা আছে কি?
কিছু ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা হয়, তবে নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসা করুন। -
ট্রেনের সময়সূচী কি পরিবর্তন হয়?
হ্যাঁ, মাঝে মাঝে পরিবর্তন হতে পারে, তাই আপডেট চেক করুন। -
অনলাইন টিকিট কেনার জন্য কোন অ্যাপ ব্যবহার করা যায়?
বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল অ্যাপ বা শোধ প্ল্যাটফর্ম। -
ট্রেনে লাগেজ সীমা কত?
সাধারণত ২৫-৩০ কেজি, তবে ট্রেনভেদে ভিন্ন হতে পারে। -
মহানগর গোধূলিতে এসি আসন আছে কি?
হ্যাঁ, এসি আসন পাওয়া যায়। -
কালনী এক্সপ্রেসে কি স্নিগ্ধা আসন আছে?
হ্যাঁ, স্নিগ্ধা আসন পাওয়া যায়। -
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ফেরত দেওয়া যায়। -
ভৈরব স্টেশনে টিকিট কাউন্টার কোথায়?
স্টেশনের প্রধান প্রবেশপথের কাছে। -
ট্রেনে শিশুদের জন্য ডিসকাউন্ট আছে কি?
হ্যাঁ, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ভ্রমণের সুবিধা। -
মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনে কি এসি আসন আছে?
কিছু ট্রেনে এসি আসন থাকতে পারে, তবে নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসা করুন। -
ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন?
রেলওয়ে পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকে। -
ঢাকা স্টেশনে পার্কিং সুবিধা আছে কি?
হ্যাঁ, সীমিত পার্কিং সুবিধা রয়েছে। -
ট্রেনে ওয়াইফাই সুবিধা আছে কি?
বর্তমানে বেশিরভাগ ট্রেনে ওয়াইফাই নেই। -
তূর্ণা এক্সপ্রেসে কি খাবার সরবরাহ করা হয়?
কিছু ক্ষেত্রে সরবরাহ করা হয়, তবে আগে থেকে জেনে নিন। -
ট্রেনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুবিধা আছে কি?
কিছু ট্রেনে সীমিত সুবিধা রয়েছে। -
ভৈরব স্টেশনে খাবারের দোকান আছে কি?
হ্যাঁ, স্টেশনে খাবারের দোকান রয়েছে। -
ট্রেনে টয়লেট সুবিধা কেমন?
বেশিরভাগ ট্রেনে পরিষ্কার টয়লেট সুবিধা রয়েছে। -
সুরমা মেইল কখন পৌঁছে?
সকাল ০৯:১৫ মিনিটে। -
চাটলা এক্সপ্রেস কখন ছাড়ে?
দুপুর ১৩:৪৮ মিনিটে। -
ট্রেনে ধূমপান করা যায় কি?
না, ধূমপান নিষিদ্ধ। -
ট্রেনে পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়া যায় কি?
সাধারণত অনুমতি দেওয়া হয় না, তবে নির্দিষ্ট নিয়ম জেনে নিন। -
ট্রেনের সময়সূচী কি মৌসুমভেদে পরিবর্তন হয়?
হ্যাঁ, বিশেষ সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। -
প্রথম বার্থের সুবিধা কী?
আরামদায়ক ঘুমানোর জায়গা এবং গোপনীয়তা। -
ট্রেনে ই-টিকিট দেখানো যায় কি?
হ্যাঁ, মোবাইল বা প্রিন্টেড ই-টিকিট গ্রহণযোগ্য। -
ঢাকা স্টেশনে ওয়েটিং রুম আছে কি?
হ্যাঁ, সীমিত ওয়েটিং রুম সুবিধা রয়েছে। -
ট্রেনে চিকিৎসা সুবিধা আছে কি?
জরুরি চিকিৎসা সুবিধা সীমিত, তবে কিছু ট্রেনে প্রাথমিক চিকিৎসা থাকে। -
এই রুটে ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে বুক করা যায়?
সাধারণত ১০ দিন আগে থেকে বুক করা যায়।














