প্রিয় দর্শক বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম! বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি মনোরম ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হলো কুড়িগ্রাম। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে যাতায়াতের জন্য ট্রেন সবচেয়ে জনপ্রিয়, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এই রুটে বর্তমানে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে, যা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক এবং সময়ানুবর্তী সেবা প্রদান করে। এই আর্টিকেলে আমরা ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনের সর্বশেষ সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, যাত্রাবিরতি স্টেশন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। এই তথ্যগুলো আপনার যাত্রাকে আরও সহজ এবং ঝামেলামুক্ত করবে।
Also Read
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম: একটি ওভারভিউ
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের রেলপথে দূরত্ব প্রায় ৪০৫ কিলোমিটার। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে আন্তঃনগর ট্রেনে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা। ট্রেন ছাড়াও এই রুটে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে, তবে ট্রেন যাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত এই রুটের ট্রেনগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই ট্রেনগুলো ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে এবং পথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
নিচে ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী দেওয়া হলো:
|
ট্রেনের নাম |
ট্রেন নম্বর |
ছুটির দিন |
ছাড়ার সময় |
পৌঁছানোর সময় |
|---|---|---|---|---|
|
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস |
৭৯৭/৭৯৮ |
বুধবার |
রাত ০৮:৪৫ মিনিট |
ভোর ০৬:১৫ মিনিট |
|
রংপুর এক্সপ্রেস |
৭৭১/৭৭২ |
সোমবার |
সকাল ০৯:১০ মিনিট |
সন্ধ্যা ০৭:১০ মিনিট |
দ্রষ্টব্য:
-
সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাচাই করুন।
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব (৪৫৪ কিলোমিটার) অতিক্রম করতে ৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট সময় নেয়।
যাত্রাবিরতি স্টেশন
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথে নিম্নলিখিত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করে:
-
ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন: রাত ০৯:১২ মিনিট (কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস)
-
মাধনগর: রাত ০১:২৬ মিনিট
-
সান্তাহার: রাত ০২:০৫ মিনিট
-
জয়পুরহাট: রাত ০২:৫০ মিনিট
-
পার্বতীপুর: ভোর ০৪:০০ মিনিট
-
কাউনিয়া: ভোর ০৫:১৯ মিনিট
মোট যাত্রাবিরতি: কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ৮টি স্টেশনে থামে।
অন্য পোস্ট পড়ুনঃ ময়মনসিংহ টু জামালপুর ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৫
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ২০২৫
ট্রেনের ভাড়া আসন বিভাগের উপর নির্ভর করে। নিচে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনের টিকিটের মূল্য দেওয়া হলো:
|
আসন বিভাগ |
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (টাকা) |
রংপুর এক্সপ্রেস (টাকা) |
|---|---|---|
|
শোভন চেয়ার |
৬৪০ |
৬৪৫ |
|
স্নিগ্ধা |
১,২২৫ |
১,২৩৭ |
|
এসি সিট |
১,৪৭৮ |
১,৪৭৮ |
|
এসি বার্থ |
২,১৯৭ |
– |
দ্রষ্টব্য:
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে এসি বার্থের কেবিন ভাড়া ১,৭৫৪ টাকা।
-
ভাড়ার মূল্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত নয়। অনলাইনে টিকিট ক্রয়ে প্রতি টিকিটে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ যুক্ত হয়।
টিকিট ক্রয়ের তথ্য:
-
কাউন্টার থেকে: ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বা কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারেন।
-
অনলাইন: বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) বা “Rail Sheba” অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায়।
-
মোবাইল অপারেটর: বিকাশ, নগদ, বা রকেটের মাধ্যমেও টিকিট কেনা সম্ভব।
ট্রেনের বৈশিষ্ট্য
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮):
-
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ৫৯৬টি আসন এবং কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৬২৬টি আসন রয়েছে।
-
এই ট্রেনে ১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার, ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার, ৮টি শোভন চেয়ার, ১টি পাওয়ার কার, এবং ১টি খাবার গাড়ি রয়েছে।
-
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল-সবুজ রঙের কোচ ব্যবহৃত হয়।
-
-
রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২):
-
এই ট্রেন দিনের সময় যাত্রীদের জন্য উপযুক্ত এবং আরামদায়ক সেবা প্রদান করে।
-
স্নিগ্ধা এবং এসি সিট সুবিধা রয়েছে।
-
ট্রেন যাত্রার সুবিধা
-
নিরাপত্তা: ট্রেন যাত্রা সড়কপথের তুলনায় বেশি নিরাপদ।
-
অর্থনৈতিক: ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাসের তুলনায় কম।
-
আরামদায়ক: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা এবং আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা।
-
সময়ানুবর্তী: আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সাধারণত নির্ধারিত সময়সূচী মেনে চলে।
টিপস এবং পরামর্শ
-
আগাম টিকিট ক্রয়: উৎসব বা ছুটির মৌসুমে টিকিট আগে থেকে কিনে রাখুন।
-
অনলাইন টিকিট: সময় বাঁচাতে এবং ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে টিকিট কিনুন।
-
সময়সূচী যাচাই: যাত্রার আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সময়সূচী যাচাই করুন।
-
আসন নির্বাচন: আরামদায়ক যাত্রার জন্য স্নিগ্ধা বা এসি সিট বেছে নিন।
-
লাগেজ সুরক্ষা: মূল্যবান জিনিসপত্র নিজের কাছে রাখুন এবং লাগেজের উপর নজর রাখুন।
-
স্টেশনে পৌঁছানো: ট্রেন ছাড়ার সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছান।
অন্য পোস্ট পড়ুনঃ খুলনা থেকে যশোর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৫
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম! বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি মনোরম ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হলো কুড়িগ্রাম। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে যাতায়াতের জন্য ট্রেন সবচেয়ে জনপ্রিয়, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এই রুটে বর্তমানে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে, যা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক and সময়ানুবর্তী সেবা প্রদান করে। এই আর্টিকেলে আমরা ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনের সর্বশেষ সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, যাত্রাবিরতি স্টেশন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। এই তথ্যগুলো আপনার যাত্রাকে আরও সহজ এবং ঝামেলামুক্ত করবে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম: একটি ওভারভিউ
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের রেলপথে দূরত্ব প্রায় ৪০৫ কিলোমিটার। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে আন্তঃনগর ট্রেনে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা। ট্রেন ছাড়াও এই রুটে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে, তবে ট্রেন যাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত এই রুটের ট্রেনগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই ট্রেনগুলো ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে এবং পথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
নিচে ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী দেওয়া হলো:
|
ট্রেনের নাম |
ট্রেন নম্বর |
ছুটির দিন |
ছাড়ার সময় |
পৌঁছানোর সময় |
|---|---|---|---|---|
|
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস |
৭৯৭/৭৯৮ |
বুধবার |
রাত ০৮:৪৫ মিনিট |
ভোর ০৬:১৫ মিনিট |
|
রংপুর এক্সপ্রেস |
৭৭১/৭৭২ |
সোমবার |
সকাল ০৯:১০ মিনিট |
সন্ধ্যা ০৭:১০ মিনিট |
দ্রষ্টব্য:
-
সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাচাই করুন।
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব (৪৫৪ কিলোমিটার) অতিক্রম করতে ৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট সময় নেয়।
যাত্রাবিরতি স্টেশন
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথে নিম্নলিখিত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করে:
-
ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন: রাত ০৯:১২ মিনিট (কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস)
-
মাধনগর: রাত ০১:২৬ মিনিট
-
সান্তাহার: রাত ০২:০৫ মিনিট
-
জয়পুরহাট: রাত ০২:৫০ মিনিট
-
পার্বতীপুর: ভোর ০৪:০০ মিনিট
-
কাউনিয়া: ভোর ০৫:১৯ মিনিট
মোট যাত্রাবিরতি: কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ৮টি স্টেশনে থামে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ২০২৫
ট্রেনের ভাড়া আসন বিভাগের উপর নির্ভর করে। নিচে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনের টিকিটের মূল্য দেওয়া হলো:
|
আসন বিভাগ |
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (টাকা) |
রংপুর এক্সপ্রেস (টাকা) |
|---|---|---|
|
শোভন চেয়ার |
৬৪০ |
৬৪৫ |
|
স্নিগ্ধা |
১,২২৫ |
১,২৩৭ |
|
এসি সিট |
১,৪৭৮ |
১,৪৭৮ |
|
এসি বার্থ |
২,১৯৭ |
– |
দ্রষ্টব্য:
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে এসি বার্থের কেবিন ভাড়া ১,৭৫৪ টাকা।
-
ভাড়ার মূল্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত নয়। অনলাইনে টিকিট ক্রয়ে প্রতি টিকিটে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ যুক্ত হয়।
টিকিট ক্রয়ের তথ্য:
-
কাউন্টার থেকে: ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বা কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারেন।
-
অনলাইন: বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) বা “Rail Sheba” অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায়।
-
মোবাইল অপারেটর: বিকাশ, নগদ, বা রকেটের মাধ্যমেও টিকিট কেনা সম্ভব।
ট্রেনের বৈশিষ্ট্য
-
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮):
-
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ৫৯৬টি আসন এবং কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৬২৬টি আসন রয়েছে।
-
এই ট্রেনে ১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার, ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার, ৮টি শোভন চেয়ার, ১টি পাওয়ার কার, এবং ১টি খাবার গাড়ি রয়েছে।
-
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল-সবুজ রঙের কোচ ব্যবহৃত হয়।
-
ট্রেনটি ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়।
-
-
রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২):
-
এই ট্রেন দিনের সময় যাত্রীদের জন্য উপযুক্ত এবং আরামদায়ক সেবা প্রদান করে।
-
স্নিগ্ধা এবং এসি সিট সুবিধা রয়েছে।
-
ট্রেন যাত্রার সুবিধা
-
নিরাপত্তা: ট্রেন যাত্রা সড়কপথের তুলনায় বেশি নিরাপদ।
-
অর্থনৈতিক: ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাসের তুলনায় কম।
-
আরামদায়ক: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা এবং আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা।
-
সময়ানুবর্তী: আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সাধারণত নির্ধারিত সময়সূচী মেনে চলে।
টিপস এবং পরামর্শ
-
আগাম টিকিট ক্রয়: উৎসব বা ছুটির মৌসুমে টিকিট আগে থেকে কিনে রাখুন।
-
অনলাইন টিকিট: সময় বাঁচাতে এবং ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে টিকিট কিনুন।
-
সময়সূচী যাচাই: যাত্রার আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সময়সূচী যাচাই করুন।
-
আসন নির্বাচন: আরামদায়ক যাত্রার জন্য স্নিগ্ধা বা এসি সিট বেছে নিন।
-
লাগেজ সুরক্ষা: মূল্যবান জিনিসপত্র নিজের কাছে রাখুন এবং লাগেজের উপর নজর রাখুন।
-
স্টেশনে পৌঁছানো: ট্রেন ছাড়ার সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছান।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
-
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের রেলপথে দূরত্ব কত?
প্রায় ৪০৫ কিলোমিটার। -
এই রুটে কয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলে?
দুটি: কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস। -
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ছুটির দিন কোনটি?
বুধবার। -
রংপুর এক্সপ্রেসের ছুটির দিন কোনটি?
সোমবার। -
শোভন চেয়ারের টিকিটের মূল্য কত?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ৬৪০ টাকা এবং রংপুর এক্সপ্রেসে ৬৪৫ টাকা। -
এসি বার্থের টিকিটের মূল্য কত?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ২,১৯৭ টাকা। -
অনলাইনে টিকিট কেনার জন্য কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করব?
বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/। -
অনলাইন টিকিটে কি অতিরিক্ত চার্জ আছে?
হ্যাঁ, প্রতি টিকিটে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ। -
ট্রেনগুলো কোন কোন স্টেশনে থামে?
ঢাকা বিমানবন্দর, মাধনগর, সান্তাহার, জয়পুরহাট, পার্বতীপুর, কাউনিয়া ইত্যাদি। -
এই রুটে লোকাল ট্রেন আছে কি?
বর্তমানে এই রুটে শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চলে। -
কোন ট্রেনটি রাতের জন্য উপযুক্ত?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (রাত ০৮:৪৫ মিনিটে ছাড়ে)। -
ট্রেনের সময়সূচী কোথায় চেক করব?
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা রেলওয়ে স্টেশনে। -
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ফেরত দেওয়া যায়। -
কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কাউন্টার কখন খোলে?
সাধারণত সকাল ৮টা থেকে খোলে। -
বিকাশে টিকিট কেনা যায় কি?
হ্যাঁ, বিকাশ, নগদ, বা রকেটের মাধ্যমে টিকিট কেনা যায়। -
ট্রেনে খাবার সুবিধা আছে কি?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে খাবার গাড়ি রয়েছে। -
ট্রেনে এসি সিট পাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, স্নিগ্ধা, এসি সিট, এবং এসি বার্থ পাওয়া যায়। -
ট্রেনে মহিলাদের জন্য আলাদা আসন আছে কি?
কিছু ট্রেনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকতে পারে। -
ট্রেনে শিশুদের জন্য ছাড় আছে কি?
৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য টিকিট লাগে না, তবে আসন বরাদ্দ হয় না। -
ট্রেনের সময় পরিবর্তন হলে কীভাবে জানব?
রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা স্টেশনে খোঁজ নিন। -
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে কতটি আসন আছে?
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ৫৯৬টি এবং কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা ৬২৬টি। -
ট্রেনে যাত্রার সময় কত?
৯ থেকে ১০ ঘন্টা। -
ট্রেনে লাগেজের সীমা কত?
শীতাতপ শ্রেণীতে ৫৬ কেজি, শোভন শ্রেণীতে ২৮ কেজি। -
ট্রেনে ওয়াইফাই সুবিধা আছে কি?
বর্তমানে এই রুটে ওয়াইফাই সুবিধা নেই। -
ট্রেনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুবিধা আছে কি?
কিছু ট্রেনে সুবিধা থাকতে পারে, তবে আগে থেকে যাচাই করুন। -
ট্রেনের টিকিট হারিয়ে গেলে কী করব?
স্টেশনের টিকিট মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করুন। -
ট্রেন মিস হলে টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া যায় কি?
নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ফেরত পাওয়া যায়। -
ট্রেনে ধূমপান করা যায় কি?
না, ট্রেনে ধূমপান নিষিদ্ধ। -
ট্রেনে ই-টিকিট দেখানো যায় কি?
হ্যাঁ, মোবাইলে ই-টিকিট দেখানো যায়। -
ট্রেনে মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট আছে কি?
এসি কামরায় চার্জিং পয়েন্ট থাকে। -
ট্রেনে পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়া যায় কি?
বিশেষ অনুমতি ছাড়া পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়া যায় না। -
কমলাপুর স্টেশনে পার্কিং সুবিধা আছে কি?
হ্যাঁ, সীমিত পার্কিং সুবিধা আছে। -
ট্রেনে খাবার অর্ডার করা যায় কি?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে খাবার গাড়ি থেকে খাবার কিনতে পারেন। -
ট্রেনে চুরি হলে কী করব?
ট্রেনের কর্মকর্তা বা রেলওয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন। -
ট্রেন দেরি হলে কী করব?
স্টেশনের হেল্প ডেস্কে খোঁজ নিন। -
ট্রেনে এসি বার্থ কোন ট্রেনে পাওয়া যায়?
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে। -
ট্রেনে টিকিট বুকিং কতদিন আগে করা যায়?
সাধারণত ১০ দিন আগে বুকিং শুরু হয়। -
ট্রেনে শিশুদের জন্য খেলনা বা বিনোদনের ব্যবস্থা আছে কি?
না, এই ধরনের ব্যবস্থা নেই। -
ট্রেনে প্রথম সিট আর শোভন চেয়ারের মধ্যে পার্থক্য কী?
প্রথম সিট বেশি আরামদায়ক এবং ব্যক্তিগত স্থান বেশি দেয়। -
ট্রেনে ওয়াশরুম সুবিধা কেমন?
আন্তঃনগর ট্রেনে পরিষ্কার ওয়াশরুম রয়েছে। -
ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ছাড় আছে কি?
হ্যাঁ, নির্দিষ্ট শর্তে ছাড় পাওয়া যায়। -
ট্রেনে ভিডিও বা ছবি তোলা যায় কি?
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ছবি বা ভিডিও তোলা যায়, তবে অনুমতি নিন। -
ট্রেনের সময়সূচী অ্যাপে পাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, “Rail Sheba” অ্যাপে সময়সূচী পাওয়া যায়। -
ট্রেনে লাগেজ হারিয়ে গেলে কী করব?
স্টেশনের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডেস্কে যোগাযোগ করুন। -
ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা কোনটি?
স্নিগ্ধা, এসি সিট, এবং এসি বার্থ। -
ট্রেনে টিকিট চেকারের সাথে যোগাযোগ কীভাবে করব?
ট্রেনে টিকিট চেকার সাধারণত কামরায় ঘুরে বেড়ান। -
ট্রেনে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করব?
ট্রেনের কর্মকর্তা বা রেলওয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন। -
এই রুটে কি ৫জি সিম ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, নেটওয়ার্ক কভারেজ থাকলে ৫জি সিম ব্যবহার করা যায়। -
ট্রেনে কি বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়?
না, খাবার কিনতে হয়। -
ট্রেনে কি ইন্টারনেট সুবিধা আছে?
বর্তমানে এই রুটে ইন্টারনেট সুবিধা নেই।
শেষ কথা
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ট্রেন যাত্রা একটি সুবিধাজনক, নিরাপদ এবং আরামদায়ক বিকল্প। এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৫ সালের সর্বশেষ সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছি। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে, দয়া করে মন্তব্যের মাধ্যমে জানান, আমরা তা সংশোধন করব। আপনার যাত্রা নিরাপদ, আরামদায়ক এবং আনন্দময় হোক! ধন্যবাদ সবাইকে।














